কোন যন্ত্রাংশ বা মেশিনারিজের স্থায়িত্ব ও কর্মকতা নির্ভর করে ঐ মেশিনটির স্থাপন কৌশল বা ইন্সটলেশন (Installation) প্রক্রিয়ার উপর। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট বা এসি কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করার প্রক্রিয়াটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটু ভাবি তো, এসি ইন্সটলেশন সঠিকভাবে না হলে কী কী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে? এসি ভালো কোন ব্র্যান্ডের বা ভাল মানের হলেও সঠিক ইন্সটলেশন না হওয়ার কারণে বারবার লিকেজের সমস্যা হতে পারে, পানি পরতে পারে, শব্দ হতে পারে, ঠান্ডা কম হতে পারে বা নাও হতে পারে। এই অধ্যায়ে আমরা এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীর হ্যান্ড টুলস, ইকুইপমেন্টস, ইলেকটিকাল টুলস চিহ্নিত ও ব্যবহার করে উইন্ডো ও স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিট স্থাপনের কাজ করতে পারব।
এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-
উপর্যুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যারে আমরা একটি জব সম্পন্ন করব। এই জবটির মাধ্যমে স্প্লিট টাইপ এয়ারকন্ডিশনার স্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করব। জবটি সম্পন্ন করার আগে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়গুলো জেনে নেই ।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, টুলস, ইন্সট্রুমেন্টস, ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট, উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার সম্পর্কে জানব ।
সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) :
প্রয়োজনীয় এ্যাপ্লায়েন্সেস
১. স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনার (SPAC)
২. উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার (WAC)
টুলস
ইন্সট্রুমেন্ট:
ইলেকট্রিক কম্পোনেন্ট/ মালামাল :
১.সার্কিট ব্রেকার
২.কম্বাইন্ড সুইচ সকেট
৩.তার, ইন্সুলেশন টেপ
ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট
এয়ার কন্ডিশনার স্থাপনে নিচে উল্লেখিত যন্ত্রপাতি প্রয়োজন-
Window- এর অর্থ জানালা। আবাসিক বা বাণিজ্যিক অফিস কক্ষে জানালা বরাবর স্থাপনকৃত একক বা ইউনিটারি এয়ার কন্ডিশনারকে উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার বলে। সাধারণত এ ধরনের ইউনিট কক্ষের জানালা বরাবর দেয়ালে (Wall) বসানো হয় এবং দেখতে কিছুটা জানালার মত মনে হয়। তাই এটি উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার (WAC) নামে পরিচিত। উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার তিনটি গোত্রে ভাগ করা হয়
১। হিমায়ন চক্র (Refrigeration Cycle)
২ (Air Cycle)
৩। ইলেকট্রিক সার্কিট অ্যান্ড কন্ট্রোল (Electric Circuit and Control) |
পারুল অনুসারে ১০-১১ ফুট উচ্চতার কক্ষের জন্য ১২০ বর্গফুট থেকে ১৫০ বর্গফুট ক্ষেত্রের জন্য এক টন ক্যাপাসিটির উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার নির্বাচন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এটি ধামরুলের সঠিক নিয়ম নয়। খামরুল অনুসারে ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে ঐ কক্ষের অবস্থা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।
চিত্র ৩.১: উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার
এয়ার কন্ডিশনার স্থাপনে দেয়াল নির্বাচন-
১। মুক্ত দেয়াল (Free Wall) কোন দিকে তা দেখতে হবে
২। চার দেয়াল মুক্ত থাকলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাক্রমে উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম দেয়াল নির্বাচন করতে হবে।
৩। মেঝে হতে ৩ থেকে ৫ ফুট বা ১ থেকে ১.৭৫ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করতে হবে
৪। সম্ভব হলে পাশের দেয়ালে স্থাপন করতে হবে
৫। কাচের দেয়াল হলে লোহার স্তম্ভ (Stand) লাগবে।
এয়ার কন্ডিশনার চালানোর আগে লক্ষণীয় বিষয়-
১। সার্ভিস লাইনের সাইজ/ কারেন্ট বহন করার ক্ষমতা
২। এনার্জি মিটারের ক্ষমতা
৩। মিটার থেকে এসির জন্য সরবরাহ লাইনের সাইজ, কারেন্ট বহন ক্ষমতা
৪। প্লাগ, সকেট, সার্কিট ব্রেকারের মান
৫। আর্থিং এর ব্যবস্থা
৬। এসি নির্মাতা কর্তৃক নির্দেশনা
উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার স্থাপনের প্রথমে নিম্নোক্ত দিক বিবেচনা করতে হবে-
১। এসি মেঝে থেকে ৭৫০ মিমি উপরে স্থাপন করতে হবে
২। পার্শ্বের দেয়াল থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিমি. দূরে রাখতে হবে
৩। এসির উপরে ৭৫ মিমি. স্থান রাখতে হবে
৪। দেয়ালের মধ্যে ২৪০ মিমি. স্থাপন করতে হবে
৫। বাইরের দেয়াল হতে কমপক্ষে ৫০০ মিমি. দূরে স্থাপন করতে হবে।
১। সর্বপ্রথম নির্মাতা কীর্তৃক স্থাপন নির্দেশনা অনুসরণ করে স্থাপন করতে হবে।
২। বাইরের ও ভেতরের দিকে যেন পড়ে না যায় বা খুলে নিতে না পারে ।
৩। সঠিক বাতাস সঞ্চালনের উপযোগী স্থানে স্থাপন ।
৪। বাতাসের চাপে যেন পড়ে না যায়।
৫। প্রতিবেশী বা পথচারীদের যেন অসুবিধা না হয়
৬। কক্ষের মধ্যে যেন ৰাভা সঞ্চালন ভালো হয়
৭। ভেতরের দিকে যেন পানি না পড়ে
৮। রক্ষণাবেক্ষণ বা সহজ সার্ভিসিং এর ব্যবস্থা করতে যেন অসুবিধা না হয়
৯। স্থাপন জনিত কারণের জন্য অধিক শব্দ না হয় ।
১০। শীতল বায়ু বেশ বাইরে যেতে না পারে অর্থাৎ স্থাপন জনিত লিক না থাকে ইত্যাদি।
১১। যেন পথচারী এবং প্রতিবেশীদের অসুবিধা না হয় ।
উত্তম স্থান নির্বাচন:
১। কম্পনও শব্দ পরিহার করার জন্য নির্বাচিত হবে যেন ইউনিট যথাযথ দৃঢ়ভাবে বসানো হয়েছে।
২। সূর্যের আলো যেন সরাসরি না পরে।
৩। কেবিনেটের পেছনে ৫০ সেন্টিমিটারের মধ্যে যেন কোন বাধা না থাকে। কোন বাধা থাকলে কন্ডেন্সার ঘনীভবন প্রক্রিয়ার সমস্যা হবে ফলে ঠান্ডা করার ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়বে।
৪। এয়ার কুলার বাইরের দিকে ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার ঢাল থাকতে হবে যা Spritlevel এ ভেতরের দিকে ১/৪ বুদবুদ দেখাবে।
কেবিনেট ও চেসিস স্থাপন
১। প্রথমে কেবিনেটের দেয়ালের স্থাপনের পরে দৃঢ়ভাবে আটকাতে হবে।
২। তারপর চেসিস কেবিনেটে ঢুকাতে হবে ।
৩। ক্যাবিনেট ও দেয়ালের মাঝে ফাঁকা জায়গায় ফোম বা রাবার দিয়ে বন্ধ করতে হবে।
৪ । কেবিনেটের সাথে চেসিস লক করতে হবে।
৫। ফ্রন্ট গ্রিল / কভার কেবিনেটের সাথে লাগাতে হবে ।
বর্তমান বিশ্বে বহু কোম্পানি উইন্ডো টাইপ এয়ারকন্ডিশনার তৈরি করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটির নাম হল-
উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে সাধারণত HCFC 22 ব্যবহৃত হতো এবং এখনও হচ্ছে, HCFC 22 রেফ্রিজারেন্ট ওজোন স্তরের ক্ষতি করে এবং পৃথিবীর উত্তাপ বৃদ্ধি করে। সে কারণে এখন উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে R 407C ব্যবহৃত হচ্ছে। রেফ্রিজারেন্টের রাসায়নিক নাম ও রাসায়নিক ফর্মূলা হল-
উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষমতা টন অব রেফ্রিজারেশন (TR), BTU/hr বা ওয়াট-এ প্রকাশ করা হয়।
1 TR = 12,000 BTU/hr=3.5 Kw = 3500 Watt.
আগে উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষমতা 1TR থেকে 3TR এর মধ্যে ছিল। বর্তমানে বাজারে নিম্নলিখিত ক্ষমতার উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনার পাওয়া যায় ।
আবহাওয়া (ঋতু) পরিবর্তনের সাথে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (Air Conditioning / AC) পদ্ধতির মাধ্যমে প্রয়োজনে বাতাসের তাপমাত্রা বাড়িয়ে বা পদ্ধতিতে কমাতে সাধারণত হিমায়ন পদ্ধতি তথা কুলিং কয়েল ( ইভাপোরেটর) -এর প্রয়োজন হয়। আবার তাপমাত্রা বাড়াতে গরম পানির কয়েল, বৈদ্যুতিক হিটার, হিট পাম্প বা হিমায়ন পদ্ধতির কন্ডেনসারে গরম করা হয়। গরম দেশে বাতাসের তাপমাত্রা ২২ ডিসে. হতে ২৬ ডিসে. পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অপরদিকে শীতকালে ১৮ ডিসে. হতে ২২ ডি.সে তাপমাত্রা রাখা হয়। কক্ষের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য থার্মোস্ট্যাট ব্যবহৃত হয়।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (AC) সিস্টেমে বাতাসের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (Factor) যা মানুষের জন্য আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে। গ্রীষ্মকালে বাতাসের আর্দ্রতা ৫০% থেকে ৬৮% এবং শীতকালে ৪০% থেকে ৫৫% রাখা ভালো। বাতাসের আর্দ্রতা বাড়ানোর জন্য হিউ-মিডিফায়ার এবং কমানোর জন্য ডি-হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা হয়। হিউমিডিস্ট্যাট-এর মাধ্যমে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয় ।
উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে মূলত দু'টি মোটর থাকে। একটি কম্প্রেসর মোটরএবং অপরটি ব্লোয়ার মোটর ।
কম্প্রেসর মোটর (Compressor Motor) :
এটি একটি হার মেটিক মোটর যা রেসিপ্রোকেটিং বা রোটারি টাইপ হয়ে থাকে। এ মোটরগুলো সাধারণত ক্যাপাসিটর রান মোটর বা পার্মানেন্ট স্প্লিট ক্যাপাসিটর মোটর হয়ে থাকে।
মোটর আকারে বড় হলে বা কোনো কারণে স্টার্টিং টর্ক কম হলে ক্যাপাসিটর স্টার্ট এবং ক্যাপাসিটর রান মোটর ব্যবহার করা হয়। এ মোটরে তিনটি টার্মিনাল থাকে (১) কমন (২) স্টার্ট (৩) রান। স্টার্ট ওয়েন্ডিং- এর সাথে সিরিজে একটি রান ক্যাপাসিটর সংযুক্ত থাকে, স্টার্ট ক্যাপাসিটর সংযোগ করলে রান ক্যাপাসিটরের প্যারালালে পটেনশিয়াল রিলে দিয়ে সংযোগ করতে হয়। কম্প্রেসর মোটরে স্টার্টিং, রানিং ওয়্যান্ডিং, স্টেটর ও রোটর থাকে।
সেটের স্থির অবস্থায় থাকে বাতে মোটরের ভরাজিং (রানিং ও স্টার্টিং) পেচানো থাকে। রোটর ঘূর্ণারমান ।
ব্লোয়ার মোটর (Blower Motor )
ব্লোয়ার মোটর দু'ধরনের হয়ে থাকে-
১। শেডেড গোল মোটর
২। মাল্টি স্পিড ক্যাপাসিটর রান মোটর রোরার মোটরের এন্ড ক্যান্স, রোটর, গুয়ান্ডিং ও শ্যাফট থাকে।
১। শেডেড গোল মোটর:
শেডেড পোল মোটরে একটি ওয়্যান্ডিং থাকে। স্টার্টিং করেলের পরিবর্তে এতে শেডিং (Shading) কয়েল থাকে। এর স্টার্টিং টর্ক খুব কম। কম ক্ষমতার এয়ার কন্ডিশনারে এটি ব্যবহৃত হয়। এ মোটরের টার্মিনাল সংখ্য খুব কম। দুই পতির মোটরে তিনটি টার্মিনাল থাকে কমন বা রান, হাই এবং লো। A = মোটর, B = মোটর সাপোট ব্রাকেঁস, C= মাউন্টিং প্লেট, D = মোলডেড ফ্যান।
পারমানেন্ট স্প্লিট ক্যাপাসিটর মোটর (Permanent Split Capacitor Motor or PSC Motor)
এতে রানিং ও স্টার্টিং ওয়ান্ডিং থাকে। এর স্টার্টিং র্যান্ডিং-এর সাথে সিরিজে একটি রান ক্যাপাসিটর সংযুক্ত থাকে এতে মোটরের গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা থাকে। এ ধরনের মোটর অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষমতা ও গতিসম্পন্ন হয়। দুই গতি মোটরে চারটি পোল এবং তিন গতির জন্য পাঁচটি গোল থাকে। অধিকাংশ এয়ার কুলারে এটি ব্যবহার করা হয়।
২। মাল্টি স্পিড ক্যাপাসিটর রান মোটর:
এই মোটরটি ওপেন টাইপ। স্টার্টিং - এর সাথে একটি রান ক্যাপাসিটর সিরিজে সংযুক্ত থাকে। মোটর গুলো দুই বা তিন গতির হয়। দুই গতির মোটরে চারটি লোপ থাকে এবং তিন গতির মোটরে পাঁচটি লোপ থাকে। সিলেক্টর সুইচের সাথে বিভিন্ন গতির লোপগুলো সংযুক্ত থাকে এবং সিলেক্টর সুইচ ঘুরিয়ে গতি কম-বেশি করতে হয়। মোটরের রোটর শ্যাফটের ইভাপোরেটর প্রান্তে একটি এবং কন্ডেনসার প্রান্তে একটি ফ্যান লাগানো থাকে। উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে এ মোটর ব্যবহার বেশি দেখা যায়।
চিত্র ৩.১১: মাল্টি স্পিড ক্যাপাসিটর রান মোটর
ফ্যান মোটর (Fan Motor) পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
উইন্ডো এয়ার কুলারের ফ্যান মোটর পরীক্ষা করতে হলে প্রথমে এয়ার কুলার চালাতে হবে। যদি বায়ুপ্রবাহ কম হয় তবে কন্ডেনসার, ইভাপোরেটর ও ফিল্টার পরীক্ষা অর্থাৎ সার্ভিসিং করতে হবে। এতে বাতাস পরিমিত গতিতে না আসলে নিচের কাজ গুলো পর্যায়ক্রমে করতে হবে-
১। ফ্যানের গতি কম হলে বুশ পরীক্ষা করতে হবে
২। বুশ ভালো থাকলে ক্যাপাসিটর পরীক্ষা করতে হবে
৩। ফ্যান না চললে ফ্যান মোটর পরীক্ষা করতে হবে
৪। প্রয়োজনে ফ্যানের ব্লেড পরীক্ষা করতে হবে।
ফ্যান ব্লেড ও বুশ পরীক্ষা :
ফ্যান হাত দিয়ে ঘুরিয়ে এর ব্যালেন্সিং (Balancing) লক্ষ্য করতে হবে এবং শব্দ অনুধাবন করতে হবে । শব্দ বা ভারসাম্য লক্ষ্য করে বোঝা যাবে বিয়ারিং বা ব্লেড ভাঙ্গা আছে কিনা। প্রয়োজনে বেয়ারিং বা বুশ বা ব্লেড পরিবর্তন করতে হবে।
ক্যাপাসিটর (Capacitor Test) পরীক্ষা:
অ্যাডোমিটার (AVO) ৰা ক্যাপাসিটর অ্যানালাইজার দিয়ে ক্যাপাসিটর পরীক্ষা করতে হবে। যদি ক্যাপাসিটর নষ্ট বা খারাপ হয় ভৰে ভা পরিবর্তন করতে হবে।
টার্মিনাল (Terminal Test) পরীক্ষা:
সার্কিটের ফ্যান মোটরের তারগুলো রানিং স্টার্টিং, হাই (High), মিডিয়াম (Medium), ा (Low) ইত্যাদি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। অতঃপর সিলেকটর সুইচ ও ক্যাপাসিটর হতে ফ্যানের ভারের লুপগুলো খুলতে হবে। সর্ব প্রথম বডি পরীক্ষা করতে হবে। ওয়্যান্ডিং বডি না হলে স্টার্টিং ও রানিং এর গ্রহন মেখে নিম্নবর্ণিত সারণির সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে ওয়্যান্ডিং সঠিক আছে কিনা।
মোটর ওয়্যান্ডিং (Winding Test) পরীক্ষা:
অ্যাভোমিটার (AVO) - এর সাহায্যে মোটর ওয়্যান্ডিং-এর কন্টিনিউটি পরীক্ষা করতে হবে। অ্যাভোমিটার (AVO) কন্টিনিউটি প্রদান করলে ওয়্যান্ডিং ভালো আছে। পরীক্ষাটি নিচের ধারাবাহিক ভাবে করতে হবে-
১। ওহম মিটারের টেস্ট প্রোব মোটরের কমন (C) ও স্টার্টিং (S) টার্মিনাল এ সংযোগ দিতে হবে।
২। ওহম মিটারের টেস্ট প্রোব মোটরের কমন (C) ও রানিং (R) টার্মিনালে সংযোগ হতে হবে।
৩। ওহম মিটারের টেস্ট প্রোব মোটরের স্টার্টিং (S) ও রানিং (R) টার্মিনালে সংযোগ হতে হবে।
বডি পরীক্ষা : মোটরের হাইস্পিড টার্মিনাল এবং বডির সাথে অ্যাভোমিটারের প্রোবদ্বয় ধরলে কন্টিনিউটি দেখালে মোটর বডি অবস্থায় আছে।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে পারফরমেন্স টেস্ট এবং স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনার সম্পর্কে জানব ।
১. সর্বপ্রথম নির্মাতা কর্তৃক স্থাপন নির্দেশনা অনুসরণ করে স্থাপন করতে হবে ।
২. সঠিক বাতাস সঞ্চালনের উপযোগী স্থানে স্থাপন ৷
৩. সহজ সার্ভিসিং এর ব্যবস্থা ।
৪. যেন বাইরে পড়ে না যায় বা খুলে নিতে না পারে ৷
৫. যেন বাইরে থেকে ভেতরে ফেলে দিতে না পারে ।
৬. স্থাপন জনিত কারণের জন্য অধিক শব্দ না হয় ৷
৭. যেন পথচারীদের অসুবিধা না হয় ।
৮. যেন প্রতিবেশীদের অসুবিধা না হয় ।
উত্তম স্থান (Space/Place) নির্বাচন
১। কম্পন ও শব্দ পরিহার করার জন্য নির্বাচিত হবে যেন ইউনিট যথাযথ দৃঢ়ভাবে বসানো হয়েছে ।
২। সূর্যের আলো যেন সরাসরি না পড়ে।
৩। ইনডোর ইউনিট স্থাপনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আউটডোর এর কোনো বাধা না থাকে। লক্ষ্য রাখতে হবে বাতাস যেন রুমে সমান ভাবে বন্টন হয়।
৪ । ইনডোর ইউনিট এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যেন সহজে পানি ড্রেনেজ করা যায় এবং সহজে ইনডোর এবং আউটডোর ইউনিট কপার পাইপ সংযোগ করা যায়।
৫ । ইনডোর ইউনিট এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যেন শিশু বা বাচ্চাদের হাতের নাগালের বাইরে থাকে।
৬। ইনডোর ইউনিট যে দেয়ালের স্থাপন হবে সে দেয়ালে যেন মজবুত হয় এবং ঝাঁকুনি মুক্ত হয়।
৭। ইনডোর ইউনিট মেঝে থেকে 8 থেকে 10 ফিট বা 250 থেকে 300 সেন্টিমিটার উচ্চতায় স্থাপন করা উচিত। এবং স্থাপনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এসি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে ।
৮। ইনডোর ইউনিট স্থাপনে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন টিভি বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ থেকে 3 থেকে 4 ফুট দূরত্ব ইনডোর ইউনিট থাকে ।
৯ । ইনডোর ইউনিট এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যেন এসির ফিল্টার সহজে পরিষ্কার করা যায়।
১০। ইনডোর ইউনিট স্থাপনের সময় ঐ ইনডোর ইউনিট ওয়াল বা দেয়াল থেকে কমপক্ষে 15 সেন্টিমিটার বা 6 ইঞ্চি এবং সিলিং থেকে কমপক্ষে 15 সেন্টিমিটার বা 6 ইঞ্চি প্রায় জায়গায় রেখে বসাতে হবে।
১১ । ইনডোর ইউনিট স্থাপনের সময় ঐ ইনডোর ইউনিট ড্রাইভার ডাইমেনশন বা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা পরিমাপ করে বসাতে হবে, যেন ইনডোর লেভেল ঠিক থাকে।
১। বেজপ্লেট সমান্তরাল স্থানে ওয়াটার লেভেল ধরে স্থাপন করতে হবে।
২। বেজপ্লেট টি সামান্য ড্রেন পাইপের দিকে ঢালু রাখতে হবে ।
৩। স্ক্রু দিয়ে বেজপ্লেট টি দেয়ালে সংযুক্ত করতে হবে।
৪। বেজপ্লেট স্ক্রু এমন ভাবে স্থাপন করতে হবে যেন প্রত্যেক স্ক্রু সমানভাবে লোড নিতে পারে ।
ইনডোর ইউনিট স্থাপন দেয়াল বা সিলিং এ বেশি হয়। দেয়ালে স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মাউন্টিং ফিটিংস নির্মাতা কর্তৃক সরবরাহ করা হয়। স্থায়ীভাবে রয়েল প্লেট বা বোল্ট সংগ্রহ করা লাগে। ইউনিটের গঠনের ওপর স্থাপনের মালামাল নির্ভর করে। ক্যাসেট টাইপ ইনডোর ইউনিট সম্পূর্ণরূপে সিলিং এ বসে। ছাদে ঝুলিয়ে রাখার সিলিং এর সাথে মিলিয়ে বসাতে হয়।
১। আউটডোর ইউনিট স্থাপনে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এসি থেকে নির্গত শব্দ গরম বাতাস যেন প্রতিবেশীর কোনো ক্ষতি না করে।
২। এসি আউটডোর ইউনিট স্থাপন করে এমন জায়গায় স্থান নির্বাচন করতে হবে যেন পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন বা গরম বাতাস বাহির হতে পারে।
৩। এসি আউটডোর ইউনিট এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যেন এয়ার ইনলেট এবং আউটডোর এর বাতাস বাধাঁ প্রাপ্ত না হয়।
৪। আউটডোর ইউনিট স্থাপনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে দেয়াল আউটডোরে লোড নিতে পারে কি না তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
৫। আউটডোর ইউনিট স্থাপনের সময় স্থান নির্বাচন করতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সরাসরি সূর্যের আলো এবং ঝড়ের বাতাস আউটডোর ইউনিটে না লাগে ।
৬। আউটডোর ইউনিট স্থাপনের সময় ঐ আউটডোর ইউনিট এবং ডাইমেনশন বা দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা পরিমাপ করে বাসাতে হবে এবং আউটডোর ইউনিট লেভেল ঠিক রাখতে হবে এছাড়া মেইনট্যান্সের সুব্যবস্থা রাখতে হবে।
৭। এসি ইনডোর এবং আউটডোর ইউনিট এর দূরত্ব উচ্চতা 10 মিটার বা 33 ফুট এবং সমান্তরাল অবস্থানে 15 মিটার বা 50 ফুট পর্যপ্ত সর্বোচ্চ দেওয়া যাবে।
৮। এসি আউটডোর ইউনিট এমন জায়গায় স্থাপন করতে হবে যেন শিশু বা দুষ্টুলোকের নাগালের বাহিরে থাকে ।
৯। লক্ষ্য রাখতে হবে যেখানে মানুষ বা লোক চলাফেরা করে এমন স্থানে যেন এসি ইন্সটলেশন করা না হয় ।
এসি স্থাপনের পর কী কী পরীক্ষা করতে হবে-
১। এসি ঠিক মত বসানো বা ফিটিং হয়েছে কিনা দেখতে হবে।
২। এসির গ্যাস লিকেজ পরীক্ষা করতে হবে।
৩। সঠিক ভাবে ইন্সুলেশন করা আছে কিনা দেখতে হবে ।
৪। সঠিক ভাবে ড্রেনেজ বা পানির লাইন ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে।
৫। এসি নেমপ্লেট নির্দেশিত ভোল্টেজ অনুযায়ী সাল্লাই ভোল্টেজ ঠিক আছে কিনা ।
৬। ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং এবং পাইপিং ঠিক ভাবে হয়েছে কিনা দেখতে হবে।
৭। আর্থিং লাইন সঠিক নিয়মে আছে কিনা দেখতে হবে।
৮। নির্দেশিত পাওয়ার কট ব্যবহার হয়েছে কিনা দেখতে হবে।
৯। বাতাস সাকশন এবং ডিসচার্জে কোনবাধা প্রাপ্ত আছে কিনা দেখতে হবে।
১০। অতিরিক্ত পাইপের দূরত্বের জন্য অতিরিক্ত গ্যাস চার্জ হয়েছে কিনা ।
১। এসি ঠিক মত বসানো না হলে পড়ে যেতে পারে এবং শব্দ হতে পারে ।
২। লিক থাকার কারণে ঠান্ডা কম হতে পারে ।
৩। ইন্সুলেশন সঠিক না হলে বা টেপিং না হলে পানি পড়তে পারে ।
৪। ফিটিং সঠিক ভাবে না হলে পানি রুমের ভেতর পড়তে পারে ।
৫। এসিতে ইলেকট্রিক্যাল সমস্যা হতে পারে অথবা এসি ইউনিটটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে ।
৬। সঠিকভাবে না হলে সার্কিট পিসিবি ড্যামেজ বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৭। সঠিক নিয়মে না হলে ইলেকট্রিক্যাল লিকেজ বা ওভার কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে।
৮। পাওয়ার কর্ড সঠিক না হলে ইলেকট্রিক সমস্যা বা পিসিবি বোর্ড এ সমস্যা হতে পারে।
৯। বাতাস বাধা প্রাপ্ত হলে ঠান্ডা কম হবে ও হাই প্রেসারের সৃষ্টি হবে।
১০। অতিরিক্ত পাইপের জন্য গ্যাস চার্জ না হলে লো প্রেসার সৃষ্টি হবে ফলে ঠাণ্ডা হবে না। এসি বারবার বন্ধ হয়ে যাবে।
এসি চালানোর আগে অবশ্যই নিম্নের বিষয় সমূহ পরীক্ষা করতে হবে-
১। পুর্ণাঙ্গ ভাবে এসি ফিটিং না করে মেইন পাওয়ার দেয়া যাবেনা।
২। ইলেকট্রিক কানেকশন অবশ্যই সঠিক নিয়মে করতে হবে।
৩। এসি ইনডোর এবং আউটডোর সাকশন ও ডিসচার্জ ফ্লায়ারনাট খোলা বা টিলা আছে কিনা অবশ্যই দেখতে হবে।
৪। এসি ইনডোর ও আউটডোরের কোন ধূলিকণা বা ময়লা আছে কিনা দেখতে হবে। ময়লা বা ধূলিকণা থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে।
১। পাওয়ার সুইচ অন করতে হবে।
২। রিমোর্ট অন/অফ বাটন চাপ দিয়ে এসি অন করতে হবে।
৩। রিমোটের মোড বাটন অন করে কুলিং মোডে দিতে হবে। যদি হিটিং এর প্রয়োজন হয় তাহলে হিটিং মোডে নিতে হবে।
এসির পাইপিং সিস্টেম সাধারণত পেছনের দিকে একটু ঢালু রাখতে হয় যেন অতি সহজেই কনডেন্সড ওয়াটার ড্রেইন লাইন দিয়ে বাইরে সহজেই ড্রেনেজ হতে পারে। ইউ ট্যান্সসহ ড্রেন লাইন তৈরি করতে হবে। বৈদ্যুতিক সংযোগ দ্বয়ে এয়ার কন্ডিশনার চালু করে কারেন্ট পরিমাপ করতে হবে। যা চিত্রে দেখানো হয়েছে-
এই শিখন ফলে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার করণীয়, Cleanning Meterials এর চিত্র সহ নাম জানতে পাৱৰ ।
কাজ শুরু করার আগে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অতি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।
৩.৩.১ বিভিন্ন ক্লিনিং ম্যাটেরিয়াল (Cleanning Meterials) এর নাম সহ চিত্র দেয়া হল-
পারদর্শিতার মানদণ্ড:
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) পরিধান করা;
২। প্রয়োজন অনুযারী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
৩। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের তালিকা তৈরি করা;
৪। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহের অবস্থান চিহ্নিত করে যন্ত্রাংশ সমূহ বিচ্ছিন্ন করা:
৫। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের যন্ত্রাংশের ত্রুটি চিহ্নিত করা;
৬। এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের ত্রুটিপুর্ন যন্ত্রাংশ স্পেশিফিকেশন অনুযায়ী পরিবর্তন করা
৭। ত্রুটিপূর্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন / মেরামতের পর সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করা;
৮। মেরামতের পর এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে বিধি মোতাবেক বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে চালু করা;
৯। মেজারিং টুলসের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক রিডিং সংগ্রহ ও ডাটা শীটে লিপিবদ্ধ করে ইউনিটটির মেরামত কার্য সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা;
১০। কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
১১ । অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
১২। ওয়েস্টেজ এবং স্ক্যাপ গুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
১৩। কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেয়া ।
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম:
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন) :
(গ) মালামাল (RawMaterials):
ডায়াগ্রাম
(ঘ) কাজের ধাপ:
ক) স্প্লিট টাইপ এসি স্থাপনের জন্য স্থানটি পরিদর্শন করতে হবে এবং স্থান নির্বাচন করতে হবে।
খ) প্রয়োজনীয় মাপে স্ট্যান্ড তৈরী করতে হবে ।
গ) ইনডোর ইউনিট স্থাপনের জন্য এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেন বাতাস রুমের সর্বত্র ছড়ায়।
ঘ) ইনডোর ইউনিটের বেজটি ওয়াটার লেভেলের সাহায্যে লেভেল করতে হবে এবং ড্রিল দিয়ে ছিদ্র করে রয়াল প্লাগ লাগাতে হবে
ঙ) বেজটি স্থাপন করতে হবে এবং ইনডোর ইউনিটটি বেজে সোটং করতে হবে।
চ) আউট ডোর ইউনিট স্থাপনের জন্য খোলামেলা জায়গা নির্বাচন করতে হবে, যেখানে রৌদ্র কম পড়ে ।
ছ) প্ৰয়োজনীয় মাপে দেয়াল ছিদ্র করতে হবে এবং রয়্যাল বোল্ট দিয়ে স্ট্যান্ডটি দৃঢ়ভাবে আটকাতে হবে ।
জ) আউটডোর ইউনিট স্ট্যান্ডের উপর নাট বোল্ট দিয়ে আটকাতে হবে।
ঝ) ইনডোর ও আউটডোর ইউনিটের মধ্যে পাইপিং করতে হবে।
ঞ) ইনডোর ও আউটডোর ইউনিটের মধ্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হবে।
ট) ইউ ট্র্যাপ ব্যবহার করে ড্রেন লাইন তৈরি করে ইনডোর ইউনিটে লাগাতে হবে।
ঠ) রেফ্রিজারেন্ট/ হিমায়ক লক ছেড়ে পাইপ বায়ুমুক্ত করতে হবে এবং সংযোগ টাইট করতে হবে।
ড) ইউনিট চালু করে কারেন্ট গ্রহণের পরিমাণ ও ঠান্ডার পরিমাণ কাঙ্খিত মাত্রায় আসে কিনা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
ঢ) পাইপিং এর ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। লম্বা সর্বোচ্চ ৭৫ ফুট এবং খাড়া উচ্চতা ২০ ফুটের বেশি হবে না। আউটডোর ইউনিট উপরে স্থাপন করলে প্রতি ৫ মিটার পরপর সাকশন লাইনে ইউ-ট্যাপ ব্যবহার করতে হবে। এক্সপানশন ডিভাইস আউটডোর ইউনিটে ব্যবহার করলে সাকশন ও ডিসচার্জ পাইপ লাইনে পৃথকভাবে ইন্সুলেশন ব্যবহার করতে হবে ।
কাজের সতর্কতা:
আত্মপ্রতিফলন
স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনার স্থাপন করার দক্ষতা অর্জন করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
১. ইউনিটারি এয়ার কন্ডিশনার বলতে কী বোঝায়?
২. লুভারের কাজ কি?
৩. উইন্ডো এসির দু'টি অসুবিধা লেখ।
৪. স্প্লিট টাইপ এসির দু'টি সুবিধা লেখ।
৫. হিমায়ক R-22 এর রাসায়নিক সংকেত লেখ ।
৬. ড্রেইন পাইপের কাজ কী?
৭. এক টন সমান কত বি.টি.ইউ?
৮. কম্প্রেসরের দূর্বল অংশ কোনটি?
১. উইন্ডো টাইপ ও স্প্লিট টাইপ এসির মধ্যে পার্থক্য লেখ।
২. উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলারের বৈদ্যুতিক সার্কিট অংকন করো ।
৩. উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলারের হিমায়ন চক্র অংকন করো।
৪. উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলার তৈরির বিভিন্ন কোম্পানির নাম লেখ।
৫. ব্লোয়ার মোটর কত প্রকার ও কী কী?
৬. স্প্লিট এসি চালানোর পূর্বে কী কী দিক বিবেচনা করতে হয়।
৭. কয়েকটি ক্লিনিং ম্যাটেরিয়ালের নাম লেখ ।
১. স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের রক্ষনাবেক্ষন কৌশল বর্ণনা করো ।
২. স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের মাসিক ও বাৎসরিক রক্ষণাবেক্ষণ কৌশল বর্ণনা করো ।
৩. উইন্ডো টাইপ এয়ার কুলারের ত্রুটির তালিকাসমূহ লেখে বর্ণনা করো ।
৪. উইন্ডো টাইপ এসি স্থাপনে কী কী দিক বিবেচনা করতে হয়।
৫. উইন্ডো টাইপ এসি বৈদ্যুতিক বর্তনী অংকন করে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো ।
আরও দেখুন...